InfoGlobe

 

The Great Wall of China – History, Construction, and Significance

The Great Wall of China is one of the most extraordinary and enduring architectural feats in human history. Stretching across the vast northern region of China, it was originally built as a defensive structure to protect the Chinese states and empires from invasions, particularly by nomadic groups like the Mongols. However, the Wall is not a single continuous wall but rather a complex network of walls, fortresses, watchtowers, gates, barracks, signal systems, and roads.

The construction of the earliest parts of the Wall began as early as the 7th century BCE, when various warring states built their own walls for defense. In 221 BCE, Emperor Qin Shi Huang, the first emperor of a unified China, connected many of these walls into what became known as the first version of the Great Wall. Over the centuries, especially during the reign of different dynasties, the Wall was expanded, repaired, and fortified. The most well-known sections visible today were built during the Ming dynasty (1368–1644), when the Wall was rebuilt using bricks and stones and extended across mountainous terrain.

The total length of the Great Wall, including all its branches, measures approximately 21,196 kilometers, making it the longest man-made structure in the world. The Wall traverses mountains, deserts, plateaus, and plains, presenting not only architectural but also geographical challenges. Construction materials included rammed earth, wood, bricks, and stone, chosen based on the terrain and availability in different regions.

Beyond military defense, the Wall served multiple strategic purposes. It helped in regulating trade, controlling immigration and emigration, and sending military signals across vast distances using fire and smoke. It was also a symbol of centralized power, showcasing the might and unity of the Chinese empire.

Today, many parts of the Great Wall are in ruins, eroded by time, weather, and human activity. Nevertheless, several sections have been restored and are open to visitors, with the Badaling and Mutianyu sections near Beijing being the most visited. The Great Wall continues to be a powerful symbol of China's national pride and historical resilience. In 1987, it was designated as a UNESCO World Heritage Site.

 

চীনের মহাপ্রাচীর – ইতিহাস, নির্মাণ ও গুরুত্ব

চীনের মহাপ্রাচীর বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম বিস্ময়কর ও দীর্ঘস্থায়ী স্থাপত্য নিদর্শন। এটি একটি প্রতিরক্ষা প্রাচীর, যা উত্তর চীনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে প্রসারিত। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বাইরের আক্রমণ থেকে চীনকে রক্ষা করা, বিশেষ করে মঙ্গোল ও অন্যান্য যাযাবর জাতির হাত থেকে। এটি শুধু একটি প্রাচীর নয়, বরং একটি জটিল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে দুর্গ, নজরদারি টাওয়ার, ফটক, সৈন্যদের থাকার স্থান, সিগনালিং সিস্টেম এবং রাস্তা।

মহাপ্রাচীর নির্মাণের ইতিহাস প্রায় ২,৫০০ বছর আগে শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব ৭ম শতাব্দীতে, যখন চীনের বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য পৃথকভাবে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে। ২২১ খ্রিস্টপূর্বে চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং এই প্রাচীরগুলিকে একত্রিত করে একটি দীর্ঘ প্রাচীর নির্মাণ করেন, যা ছিল প্রথম 'গ্রেট ওয়াল'। পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজবংশের শাসনামলে এর সম্প্রসারণ ও সংস্কার করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ও সুসংহত সংস্করণটি নির্মিত হয় মিং রাজবংশের সময় (১৩৬৮–১৬৪৪), যা আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

মহাপ্রাচীরের মোট দৈর্ঘ্য আনুমানিক ২১,১৯৬ কিলোমিটার, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ মানব-নির্মিত কাঠামো হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। এই প্রাচীর নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে ইট, পাথর, পেকানো মাটি এবং কাঠ। পাহাড়, মরুভূমি ও সমতল ভূমির উপর দিয়ে এটি এগিয়ে গেছে, যার ফলে এটি শুধু প্রতিরক্ষা নয়, ভৌগোলিকভাবে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ ছিল।

এই প্রাচীরটি শুধু সামরিক প্রতিরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হতো না, বরং এটি চীনের উত্তর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর পাশাপাশি, এটি ঐক্যবদ্ধ চীনের প্রতীক এবং ক্ষমতা প্রদর্শনের একটি উপায় হিসেবে কাজ করেছে।

বর্তমানে মহাপ্রাচীরের অনেক অংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে, তবে কিছু অংশ সংরক্ষিত এবং পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। বেইজিং-এর কাছে অবস্থিত বাদালিং ও মুতিয়ানিউ অংশ দুটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এই প্রাচীর দেখতে আসে এবং এটি চীনের জাতীয় গর্বের অন্যতম প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।